সক্রেটিস বলেছেন , যে জীবনে জিজ্ঞাসা নেই, তা কোন জীবন নয়। বির্তকের জন্ম জিজ্ঞাসা থেকে, আমি যা জানি তা চূড়ান্ত নাও হতে পারে। আমার জানাকে বিপরীত চিন্তা থেকে যাচাই করে নেয়ার নামই বিতর্ক।
গত ২৮ অক্টোবর, ২০২৪, সাইডার ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে অনুষ্ঠিত হলো বাংলা বিতর্ক প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা চমৎকার যুক্তি ও বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তাদের দক্ষতা প্রদর্শন করেছে।
এই প্রতিযোগিতাটি মোট ২টি পর্বে সাজানো হয়েছিল । গঠনমূলক পর্ব এবং যুক্তিখণ্ডন পর্ব । এইবারের প্রতিযোগিতার বিষয় ছিল – ” সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমই আমাদের অবসর সময় কেড়ে নেওয়ার অন্যতম কারণ “। প্রতিযোগিতায় বিদ্যালয়ের তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা অংশগ্রহণ করেছিল। বিচারকমণ্ডলী বিতার্কিকদের মূল্যায়ন করেছিলেন চারটি বিষয়ের উপর লক্ষ্য রেখে, তাহলো- বিষয়টি সংগঠিত ও স্পষ্ট করণ, শারীরিক ও মুখের অভিব্যক্তি, যুক্তি ও তথ্য উপস্থাপন এবং সামগ্রিক মূল্যায়ন।
অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের সম্মানিত নির্বাহী পরিচালক জনাব জ্ঞানেশ চন্দ্র ত্রিপাঠী, সম্মানিত অধ্যক্ষ নীতি ত্রিপাঠী, সহকারী শাখা সমন্বয়ক ফাহমিদা হায়দার, শিক্ষকবৃন্দ এবং অংশগ্রহণকারীদের অভিভাবকবৃন্দ । পর্ব সঞ্চালক এর দায়িত্বে ছিলেন পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র মোঃ আরাফাত নূ্র ওয়াসি ।
বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা বিভাগের শিক্ষক জনাব,পুলক দেব দাশ,ক্যামব্রিজ কারিকুলাম, সিনিয়র শাখা এবং শ্রদ্ধেয় শিক্ষক মিস, রেহেনা ইয়াসমিন, ক্যামব্রিজ কারিকুলাম, জুনিয়র শাখা ।
প্রতিযোগিতার শেষে, সম্মানিত অধ্যক্ষ নীতি ত্রিপাঠী মহোদয়া পক্ষ দলকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করেন। সেরা বক্তা হিসেবে নির্বাচিত হয় আয়ান হাসান নিরব (পক্ষ দল), মোঃ জারিফ হোসাইন (বিপক্ষ দল)। সেরা তার্কিক হিসেবে নির্বাচিত হয় মোঃ জারিফ হোসাইন (বিপক্ষ দল)। সম্মানিত অধ্যক্ষ বিজয়ীদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন এবং শিক্ষার্থীদের যুক্তিনির্ভর চিন্তাধারার প্রসারের জন্য অভিনন্দন জানান । বিচারকমণ্ডলী বিতার্কিকদের ভবিষ্যতেও এ ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য উৎসাহিত করেন।
উল্লেখ্য, বিতর্ক প্রতিযোগিতার এই আয়োজন শিক্ষার্থীদের মধ্যে গভীর চিন্তাভাবনা ও বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে।