বসন্ত মানেই রঙের উৎসব, প্রাণের জোয়ার। প্রতি বছর সাইডার ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে বসন্ত উৎসব অত্যন্ত আনন্দঘন পরিবেশে উদযাপিত হয়। এ বছরও ১৩ই ফেব্রুয়ারি,২০২৫ খ্রি., বাংলা- ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,  আনন্দ ও রঙের সমারোহে বসন্ত উৎসবের আয়োজন করা হয়। সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা বসন্তের বাহারি রঙের পোশাক পরে উৎসবে যোগ দেয়। এবছর দুটি অংশে বসন্ত উৎসব উদযাপিত হয়। এ বছরের বসন্ত উৎসবের বিশেষ আকর্ষণ ছিল শ্রেণিকক্ষে পিঠা উৎসবের আয়োজন। যেখানে ছিল দেশীয় পিঠার সমারোহ। শিক্ষার্থীদের দেশীয় ঐতিহ্যবাহী পিঠার সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে বসন্ত বরণের প্রথম অংশে শ্রেণিভিত্তিক পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়। এ পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন স্কুলের নিবার্হী পরিচালক জনাব জ্ঞানেশ চন্দ্র ত্রিপাঠী এবং প্রাথমিক শাখার অধ্যক্ষ মিস নীতি ত্রিপাঠী মহোদয়। বিভিন্ন ধরনের পিঠার সমারোহে দেশীয় ঐতিহ্যের স্বাদ, গন্ধ, আমেজকে তুলে ধরা হয় এ উৎসবের মাধ্যমে। এর ফলে শিক্ষার্থীরা বাহারি স্বাদের পিঠার ঘ্রাণে নিজেদেরকে গ্রামবাংলার চিরায়ত পিঠা উৎসবের স্মৃতিকে রোমন্থন করার সুযোগ পেয়েছে।

দ্বিতীয় পর্বে অনুষ্ঠিত হয়েছিল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মনোরম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি পরিচালনা ও সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শাখার বাংলা বিভাগের দুজন শিক্ষক- মিস কামরুন নাহার ফেরদৌসি,মিস পাপড়ি নন্দী  এবং দুজন শিক্ষার্থী – লাবিব রাইয়ান -৫ম শ্রেণি ও নওরিজা হাবিবা নাজাফ  দশম শ্রেণি । এ অনুষ্ঠানে স্থলে উপস্থিত ছিলেন জুনিয়র স্কুলের সম্মানিত অধ্যক্ষ, সিনিয়র ও জুনিয়র শাখার কো- অর্ডিনেটরবৄন্দ। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জারিন নিজাম শেখ- যিনি সাইডার ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক। তিনি একাধারে লেখক, সমাজসেবিকা, উদ্যোক্তা এবং চট্টগ্রাম চেম্বার্স অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাসট্রিতে নিযুক্ত আছেন। স্কুলের মাননীয় নির্বাহী পরিচালক জনাব জ্ঞানেশ চন্দ্র ত্রিপাঠীর উদ্বোধনী বক্তব্যের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। এরপর শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় বসন্তের আবহে নৃত্য, সংগীত, কবিতা আবৃত্তি ও ফ্যাশনশো। সম্মানিত অভিভাবকবৃন্দের উপস্থিতি এ অনুষ্ঠানকে আরও আকর্ষণীয় এবং উৎসব মুখর করে তুলেছিল। শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের সম্মিলিত অংশগ্রহণে বসন্ত উৎসব উদযাপনকে আরও মনোমুগ্ধতার দ্যুতি ছড়িয়ে দিয়েছিল।

বসন্ত উৎসব আমাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রতিচ্ছবি। এ উৎসব উদযাপন শিক্ষার্থীদের নিজস্ব সংস্কৃতি চর্চায় উদ্বুদ্ধ করবে এবং ঐতিহ্যের সঙ্গে সংযুক্ত রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে । বসন্ত উৎসব শুধু আনন্দের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয় বরং এটি আমাদের ঐতিহ্যকে লালন করার এক অপূর্ব উপলক্ষ্য।

Menu