“মুছে যাক গ্লানি , ঘুচে যাক জরা,
অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা।“
‘বাংলা নববর্ষ’ বাঙালি জাতির অন্যতম প্রিয় ও ঐতিহ্যবাহী উৎসব। এই বিশেষ দিনটি “সাইডার ইন্টারন্যাশনাল স্কুল“-এ বিপুল উৎসাহ ও উচ্ছ্বাসের মধ্য দিয়ে উদ্যাপিত হয়।উৎসবের সূচনা হয়
বর্ণাঢ্য প্রাত্যহিক সমাবেশের মাধ্যমে। শিক্ষার্থীরা রঙ-বেরঙের পোশাকে বর্ণিল সাজে সমাবেশে অংশ নেয়।
নতুন বছরের প্রারম্ভে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে শুভ নববর্ষের শুভেচ্ছা বার্তা প্রদান করেন এবং বাংলা সংস্কৃতির গুরুত্ব তুলে ধরেন বিদ্যালয়ের মাননীয় নির্বাহী পরিচালক জ্ঞানেশ চন্দ্র ত্রিপাঠী মহোদয়।
এরপর জাতীয় শিক্ষাক্রম সিনিয়র শাখার সম্মানিত শাখা সমন্বয়ক মুক্তি চৌধুরী ছাত্র-ছাত্রীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও বৈশাখী আয়োজন উপভোগ করেন এবং বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনাকে সমুন্নত রাখতে ও বাঙালির স্বতন্ত্র সাংস্কৃতিক পরিচয়কে সুসংহত করতে ‘পয়লা বৈশাখ’ উদ্যাপনের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
‘এসো হে বৈশাখ’ গানের সুরে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো স্কুল প্রাঙ্গণ,শুরু হয় শ্রেণি পর্যায়ে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান । একে একে শিক্ষার্থীদের আবৃত্তি, রবীন্দ্র ও নজরুল সংগীত, লোকগান ও নৃত্যের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা বাঙালি ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে অকৃত্রিম মমতায় উপভোগ্য করে তোলে। এছাড়াও ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্যোগে ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবারের আয়োজন করা হয়।শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিদ্যালয়ের সকলের সম্মিলিত এই প্রয়াস নতুন বছরের সম্ভাষণে এক নব আনন্দের জাগরণ ঘটায়।
এ ধরনের আয়োজন শিক্ষার্থীদের মাঝে সাংস্কৃতিক চেতনা ও দেশাত্মবোধ জাগ্রত করে এবং নিজের অস্তিত্ব সম্পর্কে সচেতন করে তোলে এবং পাশাপাশি পারস্পরিক সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও ঐতিহ্যগত মূল্যবোধ চর্চার একটি চমৎকার সুযোগ তৈরি করে।
“পয়লা বৈশাখ“ শুধু একটি উৎসব নয়, এটা বাঙালি সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও জাতিসত্তার গভীর পরিচায়ক। “সাইডার ইন্টারন্যাশনাল স্কুল“– এর এই আয়োজন নবপ্রজন্মের সাথে তার সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্যগত শেকড়ের বন্ধনকে দৃঢ় ও সুসংহত করবে বলে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সম্মানিত বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।